ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দীর্ঘদিন ধরেই শীর্ষে রয়েছে চীন। তবে এবারে পোশাক রপ্তানিতে দেশটির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি চীনের চেয়ে মাত্র ৩২ কোটি ডলার কম হয়েছে।
ইইউর পরিসংখ্যান কার্যালয়ের (ইউরোস্ট্যাট) তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে চলতি বছরের প্রথম চার মাস জানুয়ারি-এপ্রিলে ৩ হাজার ২৪৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কোম্পানিগুলো। এ আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি।
ইইউর বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে অর্থের হিসাবে পিছিয়ে থাকলেও পরিমাণে চীনকে টপকে যায় বাংলাদেশ, ২০২২ সালে। সেবার বাজারটিতে বাংলাদেশ ১৩৩ কোটি ও চীন ১৩১ কোটি কেজি কাপড়ের সমপরিমাণ তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। গত বছর চীনের চেয়ে ২ কোটি কেজির সমপরিমাণ তৈরি পোশাক কম রপ্তানি করে বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। এ সময়ে বাংলাদেশ ৪৮ কোটি ও চীন ৩৮ কোটি কেজি কাপড়ের সমপরিমাণ তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে।
বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানির আর্থিক মূল্যে শেষ পর্যন্ত চীনকে টপকে শীর্ষ স্থানে পৌঁছাতে পারবে কি না, এমন প্রশ্ন করা হয় তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেলকে। জবাবে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ইইউর বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এটি বজায় থাকলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে চীনকে টপকে যেতে পারে বাংলাদেশ।