Tuesday, November 18, 2025
Tuesday, November 18, 2025
বাড়িব্যাংকিংজামানত ৪ হাজার কোটি, ঋণ ৭৩ হাজার কোটি!

জামানত ৪ হাজার কোটি, ঋণ ৭৩ হাজার কোটি!

এস আলম গ্রুপ ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ৭৩ হাজার ১১৩ কোটি টাকার ঋণ বের করে নিয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ থেকে। এই অর্থ ব্যাংকটির মোট ঋণের প্রায় ৫০ শতাংশ। তবে এর বিপরীতে জামানত দেওয়া সম্পদের মূল্য মাত্র ৪ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা।
সলামী ব্যাংকে এখন নিরীক্ষা কার্যক্রম চলছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটও তদন্ত চালাচ্ছে। ইসলামী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংক থেকে ঋণ বের করার ক্ষেত্রে আর্থিকখাতের আইনকানুন ও নিয়মনীতির বড় ধরনের ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে।
বিভিন্ন নথিপত্রে দেখা গেছে, ইসলামী ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের সরাসরি ঋণের পরিমাণ ৫৬ হাজার ১১৮ কোটি টাকা। তবে এর বিপরীতে জামানত রয়েছে মাত্র ২ হাজার ৩৮ কোটি টাকার। গ্রুপটির পরোক্ষ ঋণের পরিমাণ ৭ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা। এর বিপরীতে জামানত ১ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা।
অন্যদিকে তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ঋণ ৯ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা, যার বিপরীতে জামানত মূল্য ৮৮৬ কোটি টাকা। ফলে জামানত মূল্যের ১৬ গুণ বেশি ঋণ তুলে নিয়েছে এস আলম গ্রুপ। জামানত হিসেবে দেওয়া হয়েছে জমি, কারখানা, ব্যাংকের শেয়ার ও নগদ টাকা।


কোনো ব্যাংক তাদের পরিচালকদের নিজ শেয়ারমূল্যের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ ঋণ দিতে পারে। অন্যদিকে ইসলামী ব্যাংক কোনো ব্যবসায়ী গ্রুপকে সর্বোচ্চ ৫০০ কোটি টাকা ঋণ দিতে পারে। ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব ঋণের টাকা আদায় হচ্ছে না বললেই চলে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ঋণের প্রকৃত হিসাব ব্যাংকের নথিতে তুলে ধরা শুরু হয়েছে। ফলে ব্যাংকের খেলাপি হয়ে পড়া ঋণ হু হু করে বাড়ছে। গত জুনে ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ৭ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা, যা সেপ্টেম্বর শেষে বেড়ে হয়েছে ১৭ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১০ হাজার ২৭ কোটি টাকা।
ব্যাংকিং খাতের বিশ্লেষক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান আনিস এ খান প্রথম আলোকে বলেন, উচ্চ থেকে নিম্ন—সব পর্যায়ে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছিল। সে কারণে ব্যাংকটি থেকে দেওয়া ঋণের অর্ধেক টাকা কেবল একজন পকেটে ঢোকানোর সুযোগ পেয়েছেন।
ব্যাংক দখলে রাষ্ট্রীয় সংস্থাও ব্যবহার করা হয়েছে। দুর্নীতির এ ক্ষত সারিয়ে ব্যাংকটির পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো সত্যিই কঠিন।

শরিয়াহভিত্তিক ডিজিটাল ব্যাংক খুলতে চায় আকিজ রিসোর্স!

ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর হারানো গ্রাহক টানার পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ঋণ পৌঁছাতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। অনুমোদন পেলে ব্যাংকটির নাম হবে ‘মুনাফা ডিজিটাল ব্যাংক’। এতে অংশীদার...

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

You cannot copy content of this page