২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে শুল্ক-কর ফাঁকির ক্ষেত্রে বিদ্যমান জরিমানার হার হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ বাজেট বক্তৃতায় এ কথা জানান। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে আধুনিক ও ব্যবসাবান্ধব হিসেবে কাস্টমস আইন, ২০২৩ সর্বমহলে সমাদৃত হয়েছে। তথাপি আইনটিকে আরও যুগোপযোগী ও কার্যকর করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের দপ্তর এবং ব্যবসায়ীমহল থেকে আইনটির বিভিন্ন ধারা পরিমার্জন এবং ক্ষেত্র বিশেষে নতুন ধারা সংযোজন সংক্রান্ত অংশীজনের মতামত বিবেচনায় নিয়ে কাস্টমস আইন,
২০২৩ এর নিম্নোক্ত পরিমার্জন ও সংযোজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি বলেন, শুল্ক-কর ফাঁকির ক্ষেত্রে বিদ্যমান জরিমানার হার হ্রাস করা হয়েছে। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্য চালানের মূল্য এবং শুল্ক ফাঁকির পরিমান ২ হাজার টাকার কম হলে শুল্ক কর বা অতিরিক্ত শল্ক কর আরোপ করা হয় না। উভয় ক্ষেত্রেই এই সীমা ২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার টাকা করা হয়েছে। প্রবাসীদের প্রেরিত উপহার সামগ্রীসহ সকল আমদানির ক্ষেত্রে আমাদানিকারকগণ এতে স্বস্তি পাবেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বিলম্বে শুল্ক পরিশোধের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সুদের হার এবং সুদ আরোপের সর্বোচ্চ সময়সীমা মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হয়েছে। আমদানি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিধান লঙ্ঘন এবং কার্গো ঘোষণা দাখিলে ভুল/ত্রুটির ক্ষেত্রে আরোপযোগ্য জরিমানার হার কমানো হয়েছে।এ ছাড়া মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কার্যপ্রক্রিয়া সহজীকরণ ও দ্রুত সেবা প্রদানের উদ্দেশেআইনে কতিপয় পরিবর্তন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
শুল্ক-কর ফাঁকিতে জরিমানা কমাতে চায় সরকার !
RELATED ARTICLES