Monday, July 14, 2025
Monday, July 14, 2025
বাড়িবিজনেস আপডেটক্রয়াদেশ বেড়েছে পোশাক রপ্তানির

ক্রয়াদেশ বেড়েছে পোশাক রপ্তানির

সকল প্রতিকুল ধাক্কা কাটিয়ে আবার তৈরি পোশাকের ব্যবসা ফিরছে। আগামী বসন্ত ও গ্রীষ্ম মৌসুমের ভালো ক্রয়াদেশ পেয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো। এমনকি তারপরের শরৎ ও শীত মৌসুমের ক্রয়াদেশ নিয়ে আশাবাদী পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা। তৈরি পোশাকশিল্পের কয়েকজন উদ্যোক্তা জানান, ক্রয়াদেশ নিয়ে এখন কোনো সমস্যা নেই। ফলে বসন্ত ও গ্রীষ্ম মৌসুমের তৈরি পোশাক রপ্তানি শুরু হলে ভালো প্রবৃদ্ধি দেখা যাবে। অবশ্য রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বেশ কিছু কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। সেই কারখানার ক্রয়াদেশ দেশের মধ্যে অন্য কারখানাগুলো পেয়েছে। তা ছাড়া চীন থেকে স্থানান্তরিত ক্রয়াদেশের একটি অংশ পাচ্ছে বাংলাদেশের কারখানাগুলো। তবে বর্তমানে সবকিছু ছাপিয়ে শিল্পাঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা ও কারখানার নিরাপত্তা বড় দুশ্চিন্তার হয়ে দাঁড়িয়েছে।


তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশের গতিপ্রকৃতি বোঝার অন্যতম বড় নিয়ামক কাঁচামালের আমদানি প্রাপ্যতা বা ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন (ইউডি)। তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, সংগঠনটির সদস্য কারখানাগুলোর পক্ষে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) পোশাক তৈরির কাঁচামাল আমদানি প্রাপ্যতা (ইউডি) নেওয়া ১৯ শতাংশ বেড়েছে। গত অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ১ হাজার ৭০ কোটি ডলারের ইউডি নেওয়া হয়েছিল। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে ১ হাজার ২৭৫ কোটি ডলারের ইউডি ইস্যু করা হয়। তার মধ্যে গত দুই মাসে (অক্টোবর-নভেম্বর) ৪৯৭ কোটি ডলারের ইউডি ইস্যু হয়েছে।
ধামরাইয়ে পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানা কিউট ড্রেস ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ এইচ এম মোস্তাফিজ বলেন, প্রচুর ক্রয়াদেশ আছে। আশা করছি, আগামী মৌসুমগুলোতে আমাদের প্রতিষ্ঠানের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ১৫-২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাকের ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণায় চীনা পণ্যে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর কথা বলেছেন ট্রাম্প। সেটি হলে চীন থেকে তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ স্থানান্তরিত হবে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হওয়ায় বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা বাড়তি ক্রয়াদেশ পেয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান চীন থেকে ক্রয়াদেশ সরানো শুরু করেছে বলে জানালেন স্প্যারো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের কারখানায় পূর্ণসক্ষমতা অনুযায়ী ক্রয়াদেশ রয়েছে।

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যে পিছিয়ে যুক্তরাষ্ট্র!

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আমদানি হয় কম। তবে দেশটিতে বাংলাদেশের পণ্যের রপ্তানি বেশি। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যে পিছিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র। সদ্য শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে...

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

You cannot copy content of this page