বর্তমানে নিও-রেট্রো মোটরসাইকেলের বাজারে রয়েল এনফিল্ড হান্টার ৩৫০-এর চাহিদা আকাশছোঁয়া। এবার এই বাইকটিকে টক্কর দিতে নতুন মডেল নিয়ে হাজির হতে পারে হোন্ডা। নতুন মডেলটির নাম অজানা হলেও ডিজাইন দেখে এটি হর্নেট ২.০-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
ফাঁস হওয়া ছবিতে আপসাইড-ডাউন ফ্রন্ট ফর্ক, অ্যালয় হুইল এবং নিসিন ক্যালিপারের সঙ্গে পেটাল-টাইপ ডিস্ক ব্রেক দেখা গেছে। যা হর্নেট ২.০ এর সঙ্গেও মেলে। এ ছাড়াও সিঙ্গেল-সিলিন্ডার, এয়ার-কুলড ইঞ্জিন এবং সিঙ্গেল-ডাউনটিউব চ্যাসিসও হর্নেট ২.০-এর অনুরূপ। তবে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। যেমন ইঞ্জিনের ক্র্যাঙ্ককেস সিবি১৯০আর-এর মতো দেখতে, যা আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হয়। ইউএসডি ফর্কগুলোও হর্নেট ২.০-এর তুলনায় আরও মোটা, এবং টায়ারের প্রস্থ ও ট্রেড প্যাটার্নেও পরিবর্তন দেখা গিয়েছে।
যদিও হোন্ডার আসন্ন বাইকটি হর্নেট ২.০ বা সিবি ১৯০আর-এর প্ল্যাটফর্মের ওপর ভিত্তি করে তৈরি, তবে এর নকশা সম্পূর্ণ নতুন এবং নজর কাড়া। এটি হোন্ডার নিও স্পোর্টস ক্যাফে ডিজাইন দর্শনের কিছু বৈশিষ্ট্য অনুসরণ করেছে, তবে বেশ কিছু আলাদা ভিজ্যুয়াল এলিমেন্ট রয়েছে। বাইকটির গোল হেডল্যাম্পের ভিতরে স্প্লিট এলইডি সেটআপ, ছোট গোলাকার টার্ন সিগন্যাল এবং একটি কমপ্যাক্ট ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার রয়েছে।
এ ছাড়াও সুগঠিত ফুয়েল ট্যাঙ্কটি বেশ পেশিবহুল, যা স্টাবি টেইল সেকশনের সঙ্গে ভালোভাবে মিশে গেছে। সিটটি একক ইউনিটের, যা রাইডারের জন্য আরও স্বাচ্ছন্দ্য এনে দেবে। মডেলটিতে সুইংআর্মের সঙ্গে যুক্ত নম্বর প্লেট হোল্ডার দেখা গিয়েছে।
বর্তমানে ভারতে হর্নেট ২.০-এর এক্স-শোরুম মূল্য ১ লাখ ৪৩ হাজার রুপি। তাই নতুন বাইকটির দাম যদি কিছুটা বেশি রাখা হয়, তবুও এটি প্রতিদ্বন্দ্বী মডেলগুলোর কাছাকাছিই থাকবে। সংস্থার এই নতুন বাইকটি বাজেটের মধ্যেই থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই মডেলের ওপর ভর করে হোন্ডা নিও রেট্রো সেগমেন্টের বাজার দখলের পরিকল্পনা করছে।
টেক্কা দিতে চলেছে রয়েল এনফিল্ডকে!
RELATED ARTICLES