সরকার নতুন করে ভ্যাট আরোপের কারণে পোশাকের পাশাপাশি আমদানি করা ফল, টিস্যু, রান্নার গ্যাস, মিষ্টি, বিস্কুট, ফলের জুস, ড্রিংক, টমেটো কেচাপ, রং, সিনেমার টিকিট, চশমার ফ্রেমসহ বিভিন্ন পণ্য ও সেবার মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন খাতে বাড়তি ভ্যাট আদায় শুরু হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে নতুন চালানের পণ্য বাজারে এখনো আসেনি। নতুন পণ্য এলে দাম বাড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কিছু ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা আশা করছেন, বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহার করা হবে।
যন্ত্রে উৎপাদিত বিস্কুট, কেক, আচার, চাটনি, টমেটো পেস্ট, টমেটো কেচাপ, টমেটো সস, আম, আনারস, পেয়ারা ও কলার পাল্প ইত্যাদি পণ্যের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। ফলের রস ও ফ্রুট ড্রিংকসের ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
সরকার ৯ জানুয়ারি শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে দেয়। পরে সমালোচনার মুখে ২২ জানুয়ারি আট ধরনের পণ্য ও সেবায় ভ্যাটের আগের পর্যায়ে নেওয়া হয় অথবা কিছুটা কমানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে ওষুধ, মুঠোফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহার, রেস্তোরাঁর খাবার, পোশাক, মিষ্টি, নন-এসি হোটেল, মোটর গাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ। তবে বাকি পণ্যে সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাটের হার আগের জায়গায় ফেরেনি।
সরকার কর বাড়িয়ে বাড়তি ১২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের উদ্যোগ নিয়েছিল। সরকারের উপদেষ্টারা বলছিলেন, কর বাড়ানো হলেও মানুষের ওপর খুব বেশি চাপ তৈরি হবে না। কারণ, বিভিন্ন নিত্যপণ্যে আগেই শুল্ক-কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে অর্থনীতিবিদেরা বলছিলেন, চড়া মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতির মধ্যে শুল্ক-কর বাড়ানো ঠিক হয়নি।
বাড়তি ভ্যাটের কারনে বাড়তি দাম গুনতে হচ্ছে ভক্তাদের !
RELATED ARTICLES