ডাচ-বাংলা ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংক তারল্য সংকটে থাকা দুর্বল ৩ ব্যাংককে ২৬৫ কোটি টাকার সহায়তা দিয়েছে । ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সহায়তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থা , নামে-বেনামে ব্যাংকগুলো থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়ে পাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে । নিয়ম বহির্ভূতভাবে টাকা বের করে নেয়ায় তীব্র তারল্য সংকট তৈরি হয়েছে ব্যাংকগুলোতে । বাংলাদেশ ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে সিআরআর ও এসএলআর রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাছাড়াও কিছু ব্যাংকের চলতি হিসাবেও ঘাটতি তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে । সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ঋণাত্মক হলেও লেনদেন অব্যাহত রাখার সুযোগ দিয়েছিলেন । বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর টাকা ছাপিয়ে দেওয়া সেই বিশেষ সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছেন । এমতঅবস্থায় সংকট মেটানোর সাময়িক উদ্যোগ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে ধারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক ডিমান্ড প্রমিসরি (ডিপি) নোট নিয়ে রাখবে দুর্বল ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে । এদিকে , গত সপ্তাহে দুর্বল ৭ ব্যাংকে তারল্য ঘাটটি মেটাতে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার সহায়তা দিয়েছে সবল ১০ ব্যাংক। সবল ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে চাওয়া হয়েছিল ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা।