ছুটিতে বন্দর সচল থাকলেও ব্যবসায়ীদের পণ্য খালাস কমে গেছে। তাতে এখন আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনারের স্তূপ বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা দ্রুত পণ্য খালাস না করলে বন্দরে জট আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর তাতে সেবার মান ব্যাহত হওয়ার শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
বন্দর কর্মকর্তারা বলছেন, বন্দরের কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতার ৮০ শতাংশ জায়গায় এখন কনটেইনার রাখা হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় এই জায়গা কমে আসছে। কনটেইনার রাখার জায়গা কমলে পণ্য খালাস কার্যক্রমসহ বন্দর পরিচালন কার্যক্রমে সময় বেশি লাগে। তাতে পণ্য হাতে পেতে ব্যবসায়ীদের সময় লাগবে বেশি।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ৫ জুন থেকে একটানা ১০ দিনের ছুটি শুরু হয়। ছুটির সময় শুধু ঈদের দিন এক পালায় বন্দরের পরিচালন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ফলে এক পালা ছাড়া ছুটির সময় জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো–নামানোর কাজ হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা আমদানি হওয়া এসব পণ্য খুব একটা খালাস করেননি। ফলে কনটেইনার জমতে শুরু করে বন্দরে।
রোববার থেকে স্বাভাবিক গতিতে কাস্টমসসহ সরকারি–বেসরকারি কার্যালয় খোলা থাকবে। খোলার আগে কনটেইনারের স্তূপ আরও বাড়তে পারে বলে বন্দরের কর্মকর্তারা শঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ছুটি শুরুর আগে ৪ জুন বন্দরে আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনারের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার (প্রতিটি ২০ ফুট লম্বা)। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল আটটা পর্যন্ত তা ৩৯ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার মানে ছুটির এ সময়ে গত সাত দিনে জমেছে ১১ হাজার কনটেইনার।
কনটেইনারের স্তূপ বেড়ে যাওয়ার বড় কারণ হলো, বন্দর থেকে কনটেইনার পণ্যের খালাস কমে যাওয়া। বন্দরে প্রতিদিন ১০–১১টি জাহাজ থেকে কনটেইনার নামানো হয়। শুল্কায়ন শেষে তা বন্দর থেকে খালাস করে নেন আমদানিকারকেরা। তবে ছুটির সময় পণ্য খালাস কমে গেলে তাতে কনটেইনারের জট বেড়ে যায়।