সিংহভাগ শেয়ার কিনে নিচ্ছে রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস। নোভারটিস বাংলাদেশ লিমিটেডের বেশিরভাগ শেয়ার কিনে নিচ্ছে তারা । প্রয়োজনীয় সব আনুষ্ঠানিকতা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে এ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এনবিএলের সিংহভাগ মালিকানা রেডিয়েন্টের কাছে স্থানান্তরের মাধ্যমে নোভারটিস বিদ্যমান আইনি কাঠামোর মধ্যে বাংলাদেশে বিশ্বমানের ওষুধ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে চায়।
১৯৭৩ সাল থেকে নোভারটিস ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সেখানে নোভারটিসের শেয়ার ৬০ শতাংশ। এই শেয়ার তারা বিক্রি করে দিচ্ছে।বাংলাদেশে এনবিএলের মাধ্যমে ব্যবসার ধারাবাহিকতা রক্ষা ও উদ্ভাবনী ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিতে অঙ্গীকারবদ্ধ নোভারটিস। এ ছাড়া এনবিএলের সব স্থায়ী কর্মীকে কমপক্ষে তিন বছর একই সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে রেডিয়েন্ট। এই হস্তান্তরের মাধ্যমে কর্মীদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এটি বাংলাদেশে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিতকরণেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন নোভারটিসের এশিয়া অ্যাসপায়ারিং মার্কেটসের প্রধান কেভিন জু এবং রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) সিনহা ইবনে জামালী। এ সময় দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নোভারটিসের হেড এশিয়া অ্যাসপায়ারিং মার্কেটস কেভিন জু বলেন, বৈশ্বিক কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এনবিএলে আমাদের শেয়ার শীর্ষস্থানীয় এক দেশীয় প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। উদ্ভাবনী ওষুধের মাধ্যমে রোগীদের সেবা নিশ্চিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি আমরা বাংলাদেশের মানুষের জীবনের মানোন্নয়ন ও তাদের দীর্ঘায়ু নিশ্চিতে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে কাজ করছি। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমাদের কর্মীদের প্রতি ন্যায্য আচরণ নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় রেডিয়েন্টকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।
রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী রেডিয়েন্ট ও নোভারটিসের মধ্যে নতুন ব্যবসায়িক অংশীদারত্বের দিকগুলো তুলে ধরেন। তিনি মনে করেন, এই অংশীদারত্ব দেশের মানুষের জন্য নোভারটিসের উদ্ভাবনী পণ্য সরবরাহে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তিনি নোভারটিসের পূর্ববর্তী কোম্পানি সিবা-গেইগি ও পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে নোভারটিসের উল্লেখযোগ্য অবদানের প্রশংসা করেন।