শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি রহিম টেক্সটাইল মিলস পিএলসির। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ১২৬ টাকা ৯০ পয়সা, যা গত ২৪ সেপ্টেম্বর লেনদেন হয় ১৬০ টাকা ৬০ পয়সায়। এ হিসাবে ৫ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩৩ টাকা ৭০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ বা ৯ টাকা ৬০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৫১ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনব্যাপী ৮৩ হাজার ৮১৩ শেয়ার ৭৭৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১ কোটি ৩৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ১৫০ টাকা থেকে ১৬৭ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হলেও গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১০৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৬৯ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ১৯৮৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে ১৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬৮৩ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৭০ দশমিক ৯৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৮ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪ টাকা ৩৯ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৪ টাকা ৭৭ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২৩-মার্চ, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ৬৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ৯ টাকা ১০ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকের হিসেবে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৯ টাকা ৭৩ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৪২ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ২৩ টাকা ৭৯ পয়সা। এছাড়া প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৭ টাকা ১৯ পয়সা (ঘাটতি), অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৮৭ পয়সা।
২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৩ টাকা ১৮ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৭৯ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৬৯ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ১ টাকা ৫৮ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ৩৭ টাকা ৯৭ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ৯ পয়সা।