জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর জানাল সঞ্চয়পত্র লেনদেনের নতুন সময়

বেশি মুনাফার আশায় সঞ্চয়পত্র কেনার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু টানা কয়েকদিন ধরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের তথ্যমতে, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য সঞ্চয় স্কিমের যাবতীয় কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জাকিয়া খানম জানিয়েছেন, অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উন্নয়ন কাজের কারণে সঞ্চয়পত্র লেনদেন বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে লেনদেন স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, “অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উন্নয়ন শেষ হলে গ্রাহকরা দ্রুত ও কার্যকর সেবা পাবেন। এতে সময় ও শ্রম সাশ্রয় হবে।”
সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য ব্যাংক ও বিক্রয় কেন্দ্রে ভিড় জমালেও গ্রাহকরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। রাজধানীর একটি বিক্রয় কেন্দ্রে আসা মো. আশরাফ হোসেন বলেন, “বেশি মুনাফার আশায় ব্যাংক থেকে টাকা তুলে সঞ্চয়পত্র কিনতে এসেছি। কিন্তু এখন দেখছি, সিস্টেম বন্ধ। আবার আসতে হবে।”
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সার্ভার আপগ্রেডেশনের কাজ চলছে। এই উন্নয়ন কার্যক্রম শেষ হলে নতুন মুনাফার হার কার্যকর হবে। বর্তমানে সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার ৯.৩৫ শতাংশ থেকে ১১.৭৬ শতাংশ। নতুন স্কিমে মুনাফার হার ১২.২৫ থেকে ১২.৫৫ শতাংশ করা হবে বলে জানা গেছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের দুই ধাপে ভাগ করা হবে। প্রথম ধাপে সাড়ে ৭ লাখ টাকার নিচে বিনিয়োগকারীরা এবং দ্বিতীয় ধাপে সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীরা।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নতুন নিয়মে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে প্রতি লাখ টাকায় ১২ হাজার ৫০০ টাকা মুনাফা এবং সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে প্রতি লাখে ১২ হাজার ৩৭০ টাকা মুনাফা পাওয়া যাবে।
সঞ্চয়পত্রে সুদের হার বাড়ানো এবং আধুনিকায়নের মাধ্যমে সেবা সহজ করার উদ্যোগ বিনিয়োগকারীদের জন্য সুফল বয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।