আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখনো অস্থিরতা কাটেনি। কয়েকটি ব্যাংকের তারল্যসংকট প্রকট হওয়ার খবরে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবস্থা বরং আরও খারাপ হয়েছে। কিছু ব্যাংক যখন গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়, তখন কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে আমানত সরিয়ে নেন অনেক গ্রাহক। এ কারণে ওই সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ বিতরণ কমাতে বাধ্য হয়। ফলে তাদের আমানত ও ঋণ দুই-ই কমে গেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত কিছুটা বেড়ে ৪৭ হাজার ৪৯১ কোটি টাকায় উঠেছিল। তবে চলতি বছরের মার্চে তা কিছুটা কমে হয় ৪৭ হাজার ৩০ কোটি টাকা। জুনে আমানত বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা। এরপর গত সেপ্টেম্বরে আবার আমানত কমে। এবারে ৬৮ কোটি টাকা কমে ৪৭ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকায় নামে। এদিকে গত বছরের ডিসেম্বরে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ৭৩ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকা, যা গত মার্চে বেড়ে দাঁড়ায় ৭৪ হাজার ৫২৯ কোটি টাকা। গত জুনে ঋণ আরও বেড়ে ৭৪ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা ওঠে। তবে সেপ্টেম্বরে ঋণ ৭৭৮ কোটি টাকা কমে ৭৪ হাজার ১৪০ কোটি টাকায় নামে।
জানা গেছে, ব্যাংকগুলোর ঋণের সুদ ৯ শতাংশে নির্দিষ্ট করার সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানতের সুদের সীমা বেঁধে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরিস্থিতি এমন হয় যে কিছু ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশি সুদে আমানত সংগ্রহ করে। ফলে ব্যবসা হারায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এদিকে গত জুন মাসের শেষে আর্থিক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৭১১ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। গত বছরের ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২১ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা, যা ছিল ওই সময়ের মোট ঋণের ২৯ দশমিক ২৭ শতাংশ। সে হিসাবে ৬ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা।
আমানত ও ঋণ কমেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের
RELATED ARTICLES