আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কয়েকদিন পরই সাকিব আল হাসানের নামে হত্যা মামলা হয়। এরপর চলতি সপ্তাহে পুঁজিবাজারে কারসাজির দায়ে তাকে জরিমানা করা হয় ৫০ লাখ টাকা। দুটো বিষয়েই কথা বলেছেন সাকিব। মামলার বিষয় সবাই জানেনÑউল্লেখ করে শেয়ারে কারসাজির বিষয়ে অস্বীকার করে প্রমাণ চান এ অলরাউন্ডার।
কানপুরে বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে গত বুধবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন সাকিব। এখানেই এক প্রসঙ্গে মামলা আর পুঁজিবাজার নিয়ে প্রশ্ন করা হয় সাকিবকে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘একটা কেস (হত্যা মামলা) হয়েছে, সবারই রাইটস (অধিকার) আছে। বাট আপনারা সবাই জানেন এটা কেমন ধরনের কেস ছিল। আমি ওই সময় কোথায় ছিলাম। আমার কাজ কী ছিল কিংবা আমি কী করছিলাম। সো এই বিষয়টা নিয়ে খুব বেশি কিছু বলতে চাই না।’ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সাকিব ছিলেন কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে। এর মধ্যেই পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। এ দলের হয়েই গত জানুয়ারিতে মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাকিব। আন্দোলনের পর আদাবরে গার্মেন্টসকর্মী হত্যা মামলার আসামি করা হয় তাকে।
হত্যা মামলা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পর নিজেই পুঁজিবাজারে কারসাজি নিয়ে কথা বলেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘আমার লাইফে আমি নিজে থেকে কোনো ট্রেড করিনি। কেউ যদি এটা বলে আমি ট্রেডিংয়ের কথা বলেছি, আমাকে প্রমাণ দিলে আমি খুশি হবো। এই সবগুলোয় এখন যে কেউ যার যার মতো করতেই পারে। তবে বিষয়গুলো যদি একটু সুন্দরভাবে করত, আমার জন্য হয়তো ভালো হতো। আমার জন্য মেন্টালি সহজ হতো।