Thursday, October 16, 2025
Thursday, October 16, 2025
বাড়িকাস্টমসবৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে ছাড়।

বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে ছাড়।

ঋণপত্র খোলার জন্য অর্থ জমা না নিয়েই ব্যাংক চাইলে গ্রাহককে ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড গাড়ি আমদানির সুবিধা দিতে পারবে। জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব বিবেচনায় এ ধরনের গাড়ি আমদানিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সুযোগ দিয়েছে। এ ছাড়া ডলার–সংকটের কারণে গাড়ি আমদানিতে শতভাগ টাকা জমা করে (মার্জিন) ঋণপত্র খোলার বিধান জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই কড়াকড়িও শিথিল করা হয়েছে।
রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সভাপতি আবদুল হক বলেন, শতভাগের বেশি টাকা জমা দিয়ে গাড়ি আমদানি করতে হচ্ছিল। এ ছাড়া ডলারের দাম বাড়ার কারণে গাড়ির দামও ক্রমেই বাড়ছিল। মার্জিনের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি শিথিল করায় এখন গাড়ি আমদানির আগেই পুরো টাকা জমা দিতে হবে না। ডলারের দাম আরও না বাড়লে এই সুবিধার ফলে দেশে গাড়ির দাম কমে আসতে পারে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর দেশের মুদ্রা ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অধিকতর সুসংহত রাখার লক্ষ্যে অন্য কতিপয় পণ্যসহ মোটরকারের (সেডানকার, এসইউভি, এমপিভি ইত্যাদি) আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে শতভাগ নগদ মার্জিন সংরক্ষণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব বিবেচনায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড গাড়ির ব্যবহারকে নীতিগতভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ঘনবসতিপূর্ণ এ দেশে এ ধরনের পরিবহনমাধ্যম কার্বণ নিঃসরণ হ্রাস এবং বায়ুর গুণমান সূচক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
ই বিবেচনায় সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড মোটরকারের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। তবে সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড মোটরকার ব্যতীত অন্যান্য মোটরকার (সেডানকার, এসইউভি, এমপিভি ইত্যাদি) আমদানির জন্য ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০ ভাগ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ঋণ দেওয়ার সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানায়। আগে একটি গাড়ি কিনতে ব্যাংক সর্বোচ্চ ৪০ লাখ টাকা ঋণ দিতে পারত। ওই সীমা বাড়িয়ে ৬০ লাখ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি একটি গাড়ির দামের কত শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে, সেই হারও বাড়ানো হয়েছে। আগে গাড়ির দামের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দিতে পারত ব্যাংকগুলো। এখন দিতে পারবে দামের ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। হাইব্রিড ও বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য দামের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। বাকি টাকার জোগান ক্রেতাকেই দিতে হবে।

এলসি খোলার ক্ষেত্রে থাকছে না আর নগদ মার্জিন!

পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে ন্যূনতম দর বা নগদ মার্জিন আর থাকছে না। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধিবিধানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ না হওয়ায় তা...

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

You cannot copy content of this page