জনতা ব্যাংক তারল্য সংকট মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার সহায়তা চেয়েছে। ব্যাংকটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৪ শতাংশ সুদে পাঁচ বছরের জন্য এই সহায়তা প্রয়োজন। এ অর্থ পেলে তারল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং গ্রাহকদের টাকা উত্তোলনের চাপ সামাল দেওয়া সহজ হবে। বর্তমানে গ্রাহকদের টাকা উত্তোলনের চাপ বেড়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ব্যাংকটি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন নীতিনির্ধারক জানিয়েছেন, চিঠিটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
এর আগে, সংকটে থাকা পদ্মা ব্যাংক আমানত ফেরত দিতে ১,৩০০ কোটি টাকা সহায়তা চেয়েছিল। একই সময়ে ন্যাশনাল, এক্সিম, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী ও ইউনিয়ন ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২২,৫০০ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দেয়।
জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বলেছেন, “জনতা ব্যাংকের ইতিহাসে এমন সংকটপূর্ণ অবস্থা কখনো দেখা যায়নি।” সম্প্রতি গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে একটি বৈঠকে জনতা ব্যাংকের এই নাজুক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
ব্যাংকিং খাতের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সংকট ব্যাংকের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদি সমস্যারই প্রতিফলন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তা সংকট সাময়িকভাবে প্রশমিত করলেও, ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় কাঠামোগত পরিবর্তন না হলে দীর্ঘমেয়াদে এই সমস্যা আবারও দেখা দিতে পারে।