প্রতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে ভ্যাট আইন অনুযায়ী ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানকে রিটার্ন দিতে হয়। তা না হলে জরিমানা ও সুদ আরোপ করা হয়। প্রতি মাসের বেচাকেনার ওপর ভিত্তি করে মূসক আইন অনুযায়ী, মূসক নিবন্ধন নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভ্যাট রিটার্ন দিতে হয়।
১৩ নভেম্বর বুধবার এনবিআরের পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মু’মেন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করা অত্যন্ত সহজ। কাগুজে ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে রিটার্নের তথ্য ভ্যাট অনলাইন সিস্টেমে অথবা ভ্যাটদাতাদের সংরক্ষণে নাও থাকতে পারে, যা ভবিষ্যতে সমস্যার সৃষ্টি কারন হতে পারে । এই অবস্থায়, ঝামেলামুক্ত থাকতে অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করুন । সব বিভাগীয় দপ্তর, ভ্যাট কমিশনারেট, এবং সার্কেল অফিসে অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে ভ্যাটদাতাদের সাহায্য করা হয়। তাই অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করুন, আধুনিক, অটোমেটেড ভ্যাট ব্যবস্থা নির্মাণে অবদান রাখুন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসূত্রে জানা যায়, ভ্যাট অফিসার কর্তৃক কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনলাইনে সংশ্লিষ্ট নথিসহ দাখিলপত্র দাখিল করার পর হার্ডকপি চাওয়া হয়, যা আইনসংগত নয়। তাই অনলাইনে ভ্যাটের রিটার্ন দাখিল করার পর হার্ডকপি আবার ভ্যাট অফিসে দাখিল করার ঝামেলা নিতে হবে না।
তবে স্থানীয় ভ্যাট অফিস কার্যালয়ে কাগুজে দাখিলপত্র দাখিল করতে চাইলে , সার্কেল অফিসের গ্রহণ-প্রেরণ শাখা থেকে রিসিভ করে নিতে হবে।