এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশার ও তার পরিবারের সদস্যরা আটটি ব্যাংক ও দুই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে ঋণ পরিশোধ না করার অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছেন। এ কারণে বেশ কয়েকটি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অভিযোগ করেছে। একই পরিস্থিতিতে রয়েছে তার বাবা, এনসিসি ব্যাংকের পরিচালক আবদুল আউয়াল। তাঁদের প্রাইম গ্রুপের ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ৭২৫ কোটি টাকা।
এছাড়া, ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান সোহেলা হোসাইন ও পরিচালক এ এস এম মঈনউদ্দীন মোনেমও ঋণ খেলাপির তালিকায় আছেন। এই চার পরিচালক ঋণ খেলাপি হওয়ায় এনসিসি ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার জন্য বিএসইসিতে আবেদন করলেও তা নাকচ হয়ে গেছে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, ঋণখেলাপি ব্যক্তি ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডে থাকতে পারবে না। তবে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি।
গত ২ নভেম্বর, এনসিসি ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার অনুমতির জন্য আবেদন করে। কিন্তু ৯ অক্টোবর, বিএসইসি জানায় যে, ঋণ খেলাপির কারণে অনুমোদন দেওয়া সম্ভব নয়।
আবুল বাশার তিন বছর ধরে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং তার বাবা প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান। ব্যাংকটির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা বেনামী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের কিছু কার্যক্রম আটকে দিয়েছে।
এদিকে, এনসিসি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান সোহেলা হোসাইন মীর গ্রুপের চেয়ারম্যান। তার পরিচালিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঋণও খেলাপি হয়ে পড়েছে। পরিচালক এ এস এম মঈনউদ্দীন মোনেমও ঋণ খেলাপি হয়েছেন।
এনসিসি ব্যাংকের কোম্পানি সচিব জানান, ভাইস চেয়ারম্যানের ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়েছে এবং অন্যদেরও নিয়মিত করার চেষ্টা চলছে।
গত আগস্টে ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় এক-তৃতীয়াংশ পরিচালক পদত্যাগ করেন, তবে তারা পুনরায় নির্বাচিত হন। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনাপত্তি চিঠি এখনও আসেনি, ফলে পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না এবং অনেক সিদ্ধান্ত আটকে আছে।
ঋণ খেলাপির বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আবুল বাশার ও পরিচালক মঈনউদ্দীন মোনেমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা প্রতিক্রিয়া জানাননি।
4o mini