সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাকে আরও সহজলভ্য করতে মোবাইল অ্যাপ চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। নিবন্ধন ও চাঁদা পরিশোধের প্রক্রিয়াটি জনবান্ধব করার লক্ষ্যে গবেষণা ও সংস্কারের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় আনা হবে। অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এ বিষয়ে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনাকে সমর্থন জানিয়েছেন।
ঢাকায় সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের প্রথম বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সরকারি সংস্থার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।
বৈঠকে পেনশন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির বর্তমান পরিস্থিতি এবং বিনিয়োগের তথ্য উপস্থাপন করা হয়। জানা যায়, বর্তমানে ৩ লাখ ৭২ হাজার ৩৭৮ জন গ্রাহক চার ধরনের পেনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন এবং মোট ১৩১ কোটি টাকা জমা দিয়েছেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সরকারি পেনশন কর্মসূচিকে আরও কার্যকর করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, দেশের জনগণকে একটি টেকসই সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের আওতায় আনার জন্য ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট চারটি পেনশন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
প্রবাসীদের জন্যও একটি কর্মসূচি চালুর পরিকল্পনা থাকলেও বর্তমানে নিবন্ধনের দিক থেকে তারা পিছিয়ে আছে। এদিকে, পেনশন কার্যক্রমকে সহজতর করতে ১২টি ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেছে কর্তৃপক্ষ।
গোলাম মোস্তফা বলেন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে পেনশন ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।