ছাদে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ১১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা মূলধনি বিনিয়োগের অনুমোদন পেয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খ্যাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড। গত ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পর্ষদ সভায় এই অনুমোদন দিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ। সাভারে অবস্থিত কোম্পানির কারখানায় এক দশমিক ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে প্রতি বছরে কোম্পানিটির ৫ কোটি ১০ লাখ টাকার বিদ্যুৎ খরচ কমানো যাবে; যা ২০ বছর পর্যন্ত এই সাশ্রয় হবে। এছাড়া বছরে প্রায় ৯৪৪ টন কার্বন নিঃসরণ কমানো যাবে। সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিনিয়োগের জন্য ১১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা কোম্পানিটির নিজস্ব তহবিল এবং ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে মেটানো হবে। তবে ব্যাংক ঋণের পরিমাণ নির্ভর করবে কোম্পানিটির নগদ অর্থ প্রবাহের ওপর।
উল্লেখ্য, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫৪০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৪০ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪ হাজার ৮২৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ৫৪ কোটি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৭২ দশমিক ৯১ শতাংশ, সরকারি শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯ টাকা ৪৮ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯ টাকা ১৪ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ৩৪ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ১৭ টাকা ১৪ পয়সা, আগের বছরের একই সময় যা ছিল ১৭ টাকা ৫৯ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধে বা প্রথম দুই প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ৪৫ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১০৬ টাকা ৪৭ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২০ টাকা ৮৭ পয়সা (ঘাটতি), অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ২৩ পয়সা (ঘাটতি)।