এক দুঃসহ বছর কাটল পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের। দুর্নীতি ও অনিয়মের পাশাপাশি সূচক, শেয়ারের দাম ও বাজার মূলধনের অব্যাহত পতন দেখেছেন বিনিয়োগকারীরা। বাজারের প্রতি তাঁদের আস্থা প্রায় তলানিতে নেমেছে। ‘লংমার্চ’ কর্মসূচি এবং পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিও পালন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। সংস্থাটির প্রধান ফটকে তালাও ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন বিক্ষুব্ধ কিছু বিনিয়োগকারী।
এক বছরের ব্যবধানে ডিএসই বাজার মূলধন হারিয়েছে প্রায় সোয়া এক লাখ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল ৬ হাজার ২৩৩ পয়েন্ট। বছরের শেষ দিকে ২৬ ডিসেম্বর তা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৮৪ পয়েন্টে। ১ জানুয়ারি ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮০ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকায়।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাজারের স্বার্থে সাড়ে চার মাসে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে নতুন কমিশন। কারসাজির অভিযোগে কারও কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নিয়েছে। পাশাপাশি টাস্কফোর্সের কাজ চলমান। এখন বিনিয়োগকারীরা আশা নিয়ে তাকিয়ে আছেন ২০২৫ সালের দিকে। আগামী বছরে ভালো কিছু দেখার প্রত্যাশা তাঁদের।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিনিয়োগকারীরা কিছুটা আশার আলো দেখেছিলেন। তবে পরক্ষনেই তা মাতি। গত ২৮ অক্টোবর ডিএসইএক্স সূচক কমে ৪ হাজার ৮৯৮ পয়েন্টে নেমে আসে, যা ছিল চার বছরের মধ্যে নিম্নতম। পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হওয়ার পর্যায়ে চলে আসেন বিনিয়োগকারীরা, যা নতুন কমিশনও ঠেকাতে পারেনি।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. রেজাউল করিম বলেন, ২০২৪ একটি ঘটনাবহুল বছর। বাজারের স্বার্থে নতুন কমিশন যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, আশা করা যাচ্ছে ২০২৫ সালে তার ইতিবাচক ফল দেখা যাবে।
কেমন ছিল ২০২৪ এর শেয়ারবাজার?
RELATED ARTICLES