বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমছে। ঋণ প্রবৃদ্ধি অক্টোবরে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ, আগস্টে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ, জুলাইয়ে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ, জুনে ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ, মেতে ১১ দশমিক ১ শতাংশ, এপ্রিলে ছিল ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। এছাড়া মার্চে ছিল ১২ দশমিক ০৪ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং জানুয়ারিতে ছিল ১২ দশমিক ৬২ শতাংশ।
বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশের ওপর ছিল ২০২২ সালের প্রথমদিকে । পরে তা কমিয়ে আনতে নীতি সুদহার রেপো বাড়ানো হয় মূল্যস্ফীতির পারদ চড়তে থাকলে । এরূপ পদক্ষেপের ফলে বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি ২০২৩ সালের মাঝামাঝি থেকে আবার কমতে শুরু করে । বর্তমানে যা কমে ৮ শতাংশের ঘরে এসেছে। মূল্যস্ফীতি এরপরও কমানো সম্ভব হচ্ছে না।
ডলার বাজার গত দুই বছর ধরে অস্থির ।ডলারের দাম ৮৫ থেকে ১২০ টাকায় পৌঁছেছে এ সময়ে। ব্যবসায়ীরাও ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি করার ক্ষেত্রে নানা হিসাব কষছেন। এসব সামগ্রিক কারণে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমছে।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখনো স্থিতিশীল না হওয়ায় নতুন বিনিয়োগ হচ্ছে না। অন্যদিকে ধারাবাহিকভাবে নীতি সুদহার বাড়ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে, যাতে ব্যাংক ঋণের সুদহারও অনেক বেড়েছে। এরুপ পরিস্থিতিতে বিনিয়োগে আগ্রহী নয় ব্যবসায়ীরা, এতে বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি কমেছে।
মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় গত সরকারের আমলে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ নির্ধারণ করে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সরকার পরিবর্তনের পর সেই মুদ্রানীতি আর পরিবর্তন করা হয়নি। নীতিসুদহার বাড়ানো হয়েছে কয়েকবার ।