Sunday, July 13, 2025
Sunday, July 13, 2025
বাড়িবিজনেস আপডেটআগর-আতর উৎপাদনে ভাটা!

আগর-আতর উৎপাদনে ভাটা!

মৌলভীবাজারের বড়লেখার সুজানগর গ্রাম আগর-আতরের আঁতুড়ঘর নামে পরিচিত হলেও এ ব্যবসা এখন আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। তবে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, কাঁচামালের সংকট ও রপ্তানিতে কম প্রণোদনার কারণে সুগন্ধি তরল আতরের উৎপাদন কমে গেছে। এসব আগর-আতর মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপের দেশসহ জাপান ও চীনে রপ্তানি হয়। সুজানগরের আগর-আতর সম্প্রতি জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) পণ্যের স্বীকৃতিও পেয়েছে। বছরের ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত আগর-আতর উৎপাদন চলে। এ সময়টা শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় গাছ থেকে সহজে আগর সংগ্রহ করা যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আগর-আতর রপ্তানিতে ৮ শতাংশ প্রণোদনা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু এ খাতের রপ্তানিকারকেরা বলছেন, খরচ যে পরিমাণ বেড়েছে তাতে আগর–আতর রপ্তানির প্রণোদনাও বাড়ানো দরকার।
এ বিষয়ে আগর-আতর ম্যানুফ্যাকচারার্স এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ চৌধুরী বলেন, একসময় বছরে ১৫০ কোটি টাকার আগর-আতর বিদেশে রপ্তানি হতো। গত কয়েক বছরে তা কমে ১০০ কোটি টাকার নিচে নেমেছে। আগর থেকে পাওয়া সুগন্ধি আতরই শুধু রপ্তানি হয় না। আগরকাঠ ও বর্জ্যও রপ্তানি হয়ে থাকে। দেশে কোনো কাজেই আগর-আতর ব্যবহার করা হয় না।
এ খাতের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা জানান, আগর-আতর শ্রমঘন শিল্প। এই শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ জড়িত। পরোক্ষভাবে এ সংখ্যা দুই লাখেরও বেশি। কয়েক বছরে শ্রমিকদের মজুরি, উৎপাদন খরচও বেড়েছে। বর্তমানে এ শিল্পে প্রতি ঘনফুট গ্যাসের দাম ৩০ টাকা ৫০ পয়সা। গ্যাসের দাম আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ অবস্থায় সম্ভাবনাময় এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে প্রণোদনা বাড়াতে হবে। অথবা চা-শিল্পের মতো এ শিল্পের জন্য প্রতি ঘনফুট গ্যাসের দাম ১১ দশমিক ৯৩ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যে পিছিয়ে যুক্তরাষ্ট্র!

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আমদানি হয় কম। তবে দেশটিতে বাংলাদেশের পণ্যের রপ্তানি বেশি। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যে পিছিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র। সদ্য শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে...

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

You cannot copy content of this page