যশোরের চৌগাছা উপজেলার মিসকিন দফাদার ৫০ বছর ধরে খেজুরগাছ কেটে রস সংগ্রহ করে গুড়-পাটালি তৈরি করেন। ৯০টি খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ করে চলতি শীত মৌসুমের দুই মাসে ৪০ হাজার টাকার রস-গুড়-পাটালি বিক্রি করেছেন তিনি। আরও অন্তত দুই মাস সমপরিমাণ অর্থের রস, গুড় ও পাটালি বিক্রির আশা তাঁর।
শুধু মিসকিন দফাদার নন, তাঁর মতো চৌগাছা উপজেলায় অন্তত ২০০ গাছির প্রত্যেকে এই শীত মৌসুমের প্রথম দুই মাসে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার গুড়-পাটালি বিক্রি করেছেন। এদিকে গত বুধ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত যশোরের চৌগাছা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা চত্বরে তিন দিনের গুড়মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপজেলার ২৫০ জনের বেশি গাছি অংশ নেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর যশোর জেলায় ৩ হাজার ৪০ মেট্রিক টন গুড়-পাটালি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ডিসেম্বর থেকে মার্চের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত খেজুরের গুড় উৎপাদনের মৌসুম। এ বছর প্রতি কেজি গুড় গড়ে ৩০০ টাকা দরে মোট ৯১ কোটি টাকার গুড় বিক্রির লক্ষ্য রয়েছে। জেলার ৬ হাজার ৩১৪ জন গাছি ৩ লাখ সাড়ে ১২ হাজার গাছ থেকে এবার রস আহরণ করছেন।
স্থানীয় গাছিরা জানান, এখন ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় কাঁচা রস, ৪০০ টাকায় তরল দানার গুড় ও ৫০০ টাকা কেজি পাটালি গুড় বিক্রি হচ্ছে। শীতের শেষ দিকে রসে মিষ্টতা বাড়ে। তবে ঘ্রাণ একটু কমে যায়। যে কারণে দামও একটু কম পাওয়া যায়।
শতকোটি টাকার খেজুরের গুড়ের ব্যবসা যশোরে
RELATED ARTICLES