এসি বেচাকেনার মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। বিভিন্ন কোম্পানির অফার চলছে। তবে গতবারের চেয়ে এবার এসির দাম কিছুটা বেশি। এসির ক্ষমতাভেদে দাম ২ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার এসির দাম অন্য এসির চেয়ে বেশি। বিদ্যুৎ বিল কম আসে, তাই গ্রাহকের মধ্যে ইনভার্টার এসির চাহিদা বেশি। দেশের মানুষের একটি বড় অংশের ক্রয়ক্ষমতাও আগের চেয়ে বেড়েছে, যা এসির বাজার বড় হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। আয় বাড়ার পাশাপাশি গত কয়েক বছরে গরমের তীব্রতা এসির চাহিদা বাড়িয়ে দিয়েছে।
গরম বাড়তে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী এসির দোকানগুলোতে এসি বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে তিনটি এসি বিক্রি হচ্ছে। এসির ক্রেতারা মোট তিন ধাপে এসি কিনে থাকেন। শীতে নানা ধরনের ছাড় থাকে এসিতে। তাই তখন অনেকেই এসি কিনে থাকেন। আবার কেউ এখন (গরমের শুরুতে) কিনছেন। আর যখন গরম পুরোপুরি পড়বে, তখন আরেক দফা বেচাকেনা হয়।
বাসাবাড়িতে এক টন থেকে দেড় টন ক্ষমতার এসির চাহিদা বেশি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ চাহিদা দেড় টন ক্ষমতার এসির। ব্র্যান্ডভেদে দেড় টন ইনভার্টার অথবা নন–ইনভার্টার এসি ৬০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। আর ১ টনের ইনভার্টার অথবা নন–ইনভার্টার এসি পাওয়া যাবে ৪০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকার মধ্যে। তবে তুলনামূলক কম দামের এসি বেশি বেচাকেনা হয়। এ ছাড়া এসি কেনায় কিস্তিতে অর্থ পরিশোধের সুযোগ আছে।
এসির বিক্রি বাড়ে গরমকে কেন্দ্র করে। গরম বেড়ে গেলে অনেক ক্রেতা এসি কিনতে আসেন। ব্যবসায়ীরা জানান, একসময় হিটাচি ও ডাইকিনের দেড় টনের এসি বিক্রি হতো এক লাখ টাকার নিচে। আর এখন বিক্রি হচ্ছে এক লাখ টাকার বেশি দামে।