আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম চলতি বছর আরো কমতে পারে। নিম্নমুখী চাহিদা ও ওপেকের পরিকল্পনা নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে দাম কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার প্রকাশিত রয়টার্সের জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। একই দিনে চলতি ও আগামী বছরের জন্য জ্বালানি তেলের দামের পূর্বাভাস সংশোধন করেছে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এইচএসবিসি। এ সময় বিশ্বব্যাপী পণ্যটির দাম আরো কমার পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। খবর রয়টার্স।
চলতি বছরের জন্য জ্বালানি তেলের দামের পূর্বাভাস টানা পঞ্চম মাসের মতো সংশোধন করেছেন রয়টার্সের ৪১ জন বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদ। তাদের জরিপ অনুযায়ী, এ সময় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম হতে পারে ব্যারেলপ্রতি ৮১ ডলার ৫২ সেন্ট। এটি ফেব্রুয়ারির পর সর্বনিম্ন পূর্বাভাস। আগস্টে বিশ্লেষকরা চলতি বছর ব্যারেলপ্রতি পণ্যটির দাম ৮২ ডলার ৮৬ সেন্ট হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে ওয়েলস ফার্গোর সিনিয়র এনার্জি বিশ্লেষক রজার রিড বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দামের সাম্প্রতিক নিম্নমুখিতার মূল কারণ ওপেকের সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ ও শীর্ষ ব্যবহারকারী দেশ চীনের কম চাহিদা।’
সিআরআইএসআইএল মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড অ্যানালিটিকসের গবেষণা পরিচালক সেহুল ভট্ট বলেন, ‘ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি সত্ত্বেও চীন ও ইউরোপের মতো শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর দুর্বল অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও চাহিদার আশঙ্কায় জ্বালানি তেলের দাম কমছে।’
ডাটা অ্যান্ড অ্যানালিটিকস কোম্পানি কেপলারের সিনিয়র বিশ্লেষক ফ্লোরিয়ান গ্রুনবার্গার বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে জ্বালানি তেলের দাম আবার বাড়তে পারে।’
রয়টার্সের জরিপে জ্বালানি তেলের চাহিদার পূর্বাভাসও সংশোধন করেছেন বিশ্লেষকরা। তারা জানান, চলতি বছর পণ্যটির চাহিদা দৈনিক গড়ে ৯-১২ লাখ ব্যারেল বাড়তে পারে। এর আগে ১০-১৩ লাখ ব্যারেল বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল।