Monday, December 23, 2024
Monday, December 23, 2024
বাড়িবিজনেস আপডেটকারওয়ান বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম নেই, তেজগাঁওয়ে গত রাতেও আসেনি ট্রাক

কারওয়ান বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম নেই, তেজগাঁওয়ে গত রাতেও আসেনি ট্রাক

রাজধানীর তেজগাঁওয়ের আড়তে গত রাতে ডিমের ট্রাক আসেনি, ফলে টানা দুই রাত ধরে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এর প্রভাবে আজ মঙ্গলবার সকালে কারওয়ান বাজারের কোনো দোকানে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়নি। দেশি মুরগি ও হাঁসের ডিম পাওয়া গেলেও সরবরাহ কম।

কৃষি মার্কেটের সব দোকানে ডিম নেই। তিনটি দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেবল একটি দোকানে ১৮০ টাকা ডজন দরে ডিম বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, কাপ্তান বাজার থেকে ডিম সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি, তাই অন্যভাবে ডিম সংগ্রহ করতে হচ্ছে। অন্যান্য বাজারে ডিম আছে, কিন্তু সরবরাহ কম।

এদিকে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ডিমের নির্ধারিত দাম কার্যকর করতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। এর ফলে তেজগাঁও আড়তের ব্যবসায়ীরা ডিম বিক্রি বন্ধ রেখেছেন, যা সংশ্লিষ্ট বাজারগুলোতে সংকট তৈরি করেছে।

অভিযানে ডিমের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেনি, বরং কিছু পাইকারি বাজারে ডিম বিক্রি বন্ধ অথবা কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা, যার ফলে সরবরাহের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

রাজধানীর তিনটি বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ফার্মের মুরগির লাল ও সাদা ডিম ডজনপ্রতি ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাড়ামহল্লায় দাম ১৯০ টাকায় উঠেছে।

কৃষি মার্কেটের ব্যবসায়ী আরশাদ হোসেন বলেন, ‘গতকাল ও আজ দোকানে ডিম নেই। ডিম রাখলে ১৮০ টাকা ডজন দরে বিক্রি করতে হয়, কিন্তু তখন ভোক্তা অধিদপ্তর জরিমানা করে।’ তিনি বলেন, ডিমের দাম না কমা পর্যন্ত বিক্রির সাহস পাচ্ছেন না।

স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ডিম প্রাণিজ আমিষের প্রধান উৎস। ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে ডিমের দাম বাড়তে থাকে এবং ধাপে ধাপে ডজনপ্রতি ১৫০ টাকার উপরে চলে যায়। বর্তমানে ডিমের দাম ১৮০ টাকায় উঠেছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, গত ৮ আগস্ট ডিমের দাম ছিল ১৫০ থেকে ১৬২ টাকা। এর আগে ডিমের দাম বছরে ৮০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে ছিল।

ডিমের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে খামারিরা উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির পাশাপাশি সরবরাহ-সংকটকে দায়ী করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই দুটি সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি। অন্তর্বর্তী সরকার ৮ অক্টোবর সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে, তবে উৎপাদন খরচ কমানোর কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই। এ অবস্থায় ডিমের বাজার পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে।

লে-অফ হয়নি বেক্সিমকোর কোনো কারখানা!

বেক্সিমকোর কারখানা এখনো উৎপাদনে আছে। কোনো কারখানা লে-অফ বা বন্ধ হয়নি। যেসব কারখানা বন্ধ হয়েছে সেগুলো বেক্সিমকোর কারখানা নয়। তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্রয়াদেশ না...

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

You cannot copy content of this page