বানিজ্যিক আমদানি
বানিজ্যিক আমদানিকারক বলতে এমন কোন ব্যবসায়ী কে বোঝাবে যিনি বাংলাদেশ এর বাহির হতে পন্য আমদানি করে নিয়ে আসবেন এবং কোন প্রকার পরিবর্তন ছাড়া (নতুন কোন পন্য প্রস্তুত, তরলিকরন, রিসাইজ ইত্যাদি কে বুঝাবে) পুনরায় পনের বিনিময়ে সরবরাহ করে বা বিক্রি করে মূনাফা অর্জন করে।
বানিজ্যিক দলিলাদি : উক্ত ব্যবসায় এর জন্য আপনাকে নিন্মলিখিত বানিজ্যিক লাইসেন্স লাগবে।
১. ব্যবসা এর নাম সিলেকশন
২. ব্যবসায় এর ধরন সিলেক্ট করা ( একক মালিকানা, অংশিদারি, প্রাইভেট লিমিটেড)
৩. যদি অংশীদার ব্যবসা হয় তাহলে অংশিদারী চূক্তি করতে হবে (৪০০০ টাকার স্ট্যম্প এ), এবং ইহা নোটারী করতে হনে, RJSC রেজিষ্ট্রেশন লাগবে, অন্যথায় বাংলাদেশ ব্যংক এর গাইডলাইন অনুযায়ী আপনি কোন ক্রেডিট সুবিধা পাবেন না যথা এল সি ওপেন, ঋন গ্রহণ।
৪. ব্যাবসায় এর ঠিকানা সিলেক্ট করতে হবে, যতি ইহা ভাড়া হয় তাহলে ভাড়া চুক্তি করতে হবে, আর নিজের স্থান হলে এই সপক্ষে যেকোনো দলিল
৫. ই টিন নিবন্ধন নিতে হবে, পূর্ববরতি বছরের রিটার্ন দাখিল এর PSR সংগ্রহ করতে হবে,
৬. ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে সংস্লিস্ট সিটি করপোরেশন বা ইউনিয়ন পরিষদ বা প্রযোজ্য। প্রতি বছর রিনিউ করতে হয়।
৭. ব্যংকে একাউন্ট খুলে, ব্যংক সলভেন্সি গ্রহণ করতে হবে।
৮. যেকোন এসোসিয়েশন (ব্যবসা সংস্লিস্ট বা DCCI) এর মেম্বারশিপ গ্রহণ। প্রতি বছর রিনিউ করতে হয়।
৯. আমদানি রপ্তানি নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে Commercial IRC গ্রহণ করতে হবে। প্রতি বছর রিনিউ করতে হয়।
ভ্যাট ব্যবস্থাপনা
১. মূসক আইনের ধারা ৪ অনুযায়ী বাধ্যতামূলক নিবন্ধন গ্রহণ করতে হবে।
২. উপকরণ উৎপাদ সহগ – মূসক ৪.৩ দাখিল করতে হবে
৩. হিসাব সংরক্ষণ যথা মূসক ক্রয় বহি মূসক ৬.১, বিক্রয় বহি মূসক ৬.২, অথবা ক্রয় বিক্রয় বহি মূসক ৬.২.১,কর চালান পত্র মূসক ৬.৩, ডেবিট নোট এবং ক্রেডিট নোট মূসক ৬.৭,৬.৮, মূসক ৬.১০(২লক্ষ্য টাকার অধিক মূল্যের ক্রয় বিক্রয়ের তথ্য), দাখিল পত্র মূসক ৯.১.
৪. প্রয়োজন এ শর্ত পালন সাপেক্ষে কেন্দ্রীয় নিবন্ধন গ্রহণ করা যাবে।
৫. তৃতীয় তফসিল অনুযায়ী ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসক হার পাঁচ শতাংশ, তবে যদি ব্যবসায়ী মনে করেন ১৫% হারে মূসক প্রদানপূর্বক রেয়াত গ্রহণ করবেন, তাহলে দাড়া ৪৬ পরিচালন সাপেক্ষে আদর্শ হারে পণ্য সরবরাহ করতে পারবেন,
৬. উক্ত প্রতিষ্ঠ স্থানীয় সরবরাহের ক্ষেত্রে যদি উৎসে মূসক কর্তন কারীর নিকট পন্য সরবরাহ করে সে ক্ষেত্রে সরবরাহকারী হিসাবে গন্য হবেন এবং ৭.৫ শতাংশ হারে পন্য সরবরাহ করিতে পারবেন। এক্ষেত্রে উঠতে কর্তনকারী যোগানদার হিসাবে উৎসে মশক কর্তন করবে,
তবে প্রতিষ্ঠান যদি ভ্যাট কমপ্লায়েন্স হয় ১৫% হার মূসক ৬.৩ প্রদান করে এবং মূসক সম্মাননা পত্র প্রদান করে, তাহলেও ইহা সঠিক হবে এক্ষেত্রে উৎসে কর্তনকারী এই সরবরাহের বিপরীতে ইচ্ছে কর্তন করিবেন না
৭. যদি উৎসে কর্তনকারী এই প্রতিষ্ঠানের সরবরাহের বিপরীতে উৎসে মূসক কর্তন করে তাহলে মূসক ৬.৬ প্রাপ্তি সাপেক্ষে নির্ধারিত পদ্ধতি অবলম্বন করে হ্রাসকারী সমন্বয় করিতে পারবে।
৬. স্থান স্থাপনা যদি ভাড়া হয়ে থাকে তাহলে উক্ত ভাড়ার উপর ১৫ শতাংশ হারে মূসক প্রদান করবে।
৭. আমদানি কারক হিসেবে আমদানি কৃত সকল বিল অফ এনট্রি নির্ধারিত পদ্ধতি ও সময়ের মধ্যে রিটার্ন মূসক ৯.১ এ আমদানি হিসেবে প্রদর্শন করতে হবে।
৮. আমদানি পর্যায়ে পরিশোধ করা অগ্রিম কর পরবর্তী চার কর মেয়াদের মধ্যে হ্রাসকারী সমন্বয় করতে হবে।
৯. উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণ করতে হলে ধারা 46 এর সকল শর্ত পালন করতে হবে.
১০। উক্ত প্রতিষ্ঠান যদি উৎসে কর্তনকারী সত্তা হয়ে থাকে তাহলে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উঠছে কর্তন করতে হবে ।
আয়কর ব্যবস্থাপনা :
১. একজন আমদানিকারক হিসাবে আমদানি পর্যায়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ শতাংশ অগ্রিম আয়কর পরিশোধ করতে হবে।
২. এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবছর আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে এবং পি এস আর সংগ্রহ করতে হবে অন্যথায় ট্রেড লাইসেন্স এবং আই আর সি রিনিউ করতে পারবে না।
৩. উক্ত প্রতিষ্ঠান যদি স্থানীয় পর্যায়ে আয়কর আইন অনুযায়ী উৎসে কর কর্তনকারীর নিকট পণ্য বিক্রয় করে তাহলে আনুপাতিক হারে টিডিএস কর্তন করা হবে।
৪. উক্ত প্রতিষ্ঠান আমদানি পর্যায়ে যেই অগ্রিম আয়কর দিয়ে আসেন তাহা আইন অনুযায়ী মিনিমাম কর সে ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে করপরিষদ করতে হবে।
৫. ট্রেড লাইসেন্স রিনিউয়াল করার সময় প্রদত্ত অগ্রিম আয়কর রিটার্নের সাথে সমন্বয় করা যাবে।
৬. উক্ত প্রতিষ্ঠান যদি এক মালিকানা হয় তাহলে মালিক তার নিজস্ব গাড়ির বিপরীতে যেই অগ্রিম কর পরিশোধ করেন তাহা সমন্বয় করা যাবে।
৭. আয়কর আইন অনুযায়ী যদি এই প্রতিষ্ঠানের অথবা ব্যক্তির আমদানি ব্যবসা ব্যতীত একাধিক ব্যবসায় থাকে সেই ক্ষেত্রে আলাদা হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে।
যেকোনো আইনি সহায়তার জন্য আমরা আপনাদের পাশে আছি।
মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান
ভ্যাট কনসালটেন্ট
ম্যানেজিং পার্টনার
সিক্স ডি বিজ সলিউশন