চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ ৪২ টিইইউএস কনটেইনারে থাকা পেঁয়াজ, কমলা, মাল্টা, ম্যান্ডারিন, আদা, ড্রাগন ফল পচে যাওয়ায় ধ্বংস করেছে । ফলে এখন বন্দরের ৪২ টিইইউএস জায়গা খালি হয়েছে। প্রায় আট হাজার টিইইউএস (২০ ফিট দৈর্ঘ্যের কনটেইনারের একক) নিলামযোগ্য কনটেইনার পড়ে আছে চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে । বন্দর কর্তৃপক্ষ নিলামে বিক্রি ও ধ্বংসযোগ্য কনটেইনারগুলো ধ্বংস করে বন্দরের মূল্যবান জায়গা খালি করার জন্য একাধিকবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বরাবর চিঠি দিয়েছে ।
অনেক আমদানিকারক দেশে পণ্যের দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কায় আমদানি পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে নামার পর মিথ্যা ঘোষণায় চালান আটক, কম্পানি দেউলিয়া হওয়াসহ নানা কারণে খালাস নেন না । বন্দর কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময় পর এসব কনটেইনারের তালিকা কাস্টম হাউসকে পাঠায় , নিলাম বা ধ্বংস করে বন্দরের জায়গা খালি করার জন্য । নানা জটিলতা, নিলাম প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা ইত্যাদি কারনে ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনায় দেরি হয়। যার ফলে আমদানি করা এসব পণ্যের গুণগতমান নষ্ট, মেয়াদোত্তীর্ণ ও ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে এবং কনটেইনার বছরের পর বছর আটকে থাকে। ফলস্বরূপ ফি ও শুল্ক থেকে বঞ্চিত হয় বন্দর ও কাস্টম ।
গত ১১ নভেম্বর চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের পণ্য ধ্বংসে নিয়োজিত কমিটির সভায় ৪২ টিইইউএস কনটেইনারের পচা পণ্য ধ্বংসের সিদ্ধান্ত হয়। ঐ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নগরীর দক্ষিণ হালিশহরে সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং ইয়ার্ডে এনে ধ্বংস করা হয়েছে কনটেইনারের পচা পণ্য ।
দেশে বিভিন্ন সময়ে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কনটেইনার ডেলিভারি ও স্থানান্তর মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছিল। তারপর বন্যার কারণে সপ্তাহব্যাপী যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে প্রায় ৪৫ হাজার টিইইউএস কনটেইনার স্তূপ জমে যায় । বন্দরের ধারণক্ষমতার ৮৫ শতাংশ জায়গা পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে কনটেইনারের সংখ্যা ৩৪ হাজার টিইইউএসে নেমে এসেছে।