দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১৭ অক্টোবর ও ১৯ নভেম্বর দুই দফায় সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিতে শুল্ক–কর কমানো হয়েছে। শুল্ক–কর কমিয়ে আনা হয়েছে ৫ শতাংশে যাতে প্রতি কেজি অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলে শুল্ক–কর ৭ টাকায় নেমে এসেছে, ১০-১১ টাকা কর কমেছে প্রতি কেজিতে । কিন্তু আমদানি বাড়ার পরিবর্তে উল্টো আমদানি কমে গেছে।
গত বছরের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে আমদানি হয়েছিল ৪ লাখ ৬০ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল, কিন্তু এই বছরের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে আমদানি হয়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার টন। এই হিসাবে আমদানি কমার হার প্রায় ২০ শতাংশ। সয়াবিনবীজ আমদানি হয়েছে সোয়া দুই লাখ টন, যা গত বছরের চেয়ে মাত্র ৯ হাজার টন বেশি।
১ লাখ ৬৯ হাজার টন সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি হয়েছে গত নভেম্বর মাসে । যেখানে দুই হাজার টন আমদানি করেছে খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী কোম্পানিগুলো আর সাতটি প্রতিষ্ঠান মিলে বাকি ১ লাখ ৬৭ হাজার টন বাজারজাত করেছে।
টিসিবির হিসাবে, দাম ১ শতাংশ কমেছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের, পাম তেলের দাম সামান্য বেড়েছে। খোলা পাম ও সয়াবিনের দাম ৫–৬ শতাংশ বেড়েছে শুল্ক কমানোর পর। ভোজ্যতেলের জোগান বাজারে কিছুটা কম । আমদানি কমার কারণে বাজারে এক লিটারের বোতলজাত তেল সরবরাহ করছে না কোম্পানিগুলো। তবে বোতলজাত সয়াবিনের লিটারপ্রতি দাম একই রয়েছে ।