আমদানিকারকেরা খালাস না নেওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে ফলবোঝাই দুই শতাধিক কনটেইনার ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন স্থলবন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ৭৫ ট্রাক ফল আটকে রয়েছে। এর মধ্যে যশোরের বেনাপোলের বিপরীতে ভারতে পেট্রাপোল সীমান্তে আটকে আছে ফলবোঝাই ২৫টি ট্রাক।ফল আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন দুই দিন ধরে ফল আমদানি বন্ধ ঘোষণা করায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফল আমদানিতে বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। এ কারণে গত মঙ্গলবার ও বুধবার দেশে সব স্থল ও নৌবন্দরে দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ ছিল।সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিদিন গড়ে শতাধিক কনটেইনার ফল আমদানি হয়। শুল্কায়নসহ যার আমদানি মূল্য প্রায় ৮০ কোটি টাকার বেশি। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন গড়ে ৮০ ট্রাক ফল আমদানি করা হয়। শুল্কায়নসহ যার মূল্য প্রায় শতকোটি টাকা।
সেই হিসাবে বিভিন্ন বন্দর দিয়ে দিনে গড়ে ১৮০ কোটি টাকার ফল আমদানি হয়। আমদানি বন্ধ থাকায় গত দুই দিনে প্রায় ৩৬০ কোটি টাকার ফল আমদানি ব্যাহত হয়েছে।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে যেসব খাদ্য আমদানি হয়, তার বড় অংশ রয়েছে আপেল, আঙুর, কমলা, মাল্টা ও আনার। সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর আগে এসব ফল আমদানির ওপর ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আদায় করত কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এতে প্রতি কেজি ফলে সরকারকে রাজস্ব দিতে হতো ১০১ থেকে ১১৫ টাকা। গত ৯ জানুয়ারি সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়। তাতে প্রতি কেজি ফল আমদানিতে শুল্ককর ১৫ থেকে ১৮ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৬ থেকে ১৩৮ টাকা।এদিকে আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় আমদানি করা সব ধরনের ফলের দামও বেড়েছে খুচরা বাজারে। মানভেদে বিভিন্ন ধরনের ফলের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল বন্দরে বিভিন্ন ধরনের ফলবোঝাই অন্তত ২৫টি ট্রাক আটকে আছে বলে নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান। তিনি জানান, বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার না হলে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফল আমদানি বন্ধ থাকবে।