চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ, তাই এডিপিতে বরাদ্দের প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা অব্যবহৃত থেকে যেতে পারে। চলতি অর্থবছরের এডিপিতে অব্যবহৃত টাকা দিয়ে বকেয়াসহ পুরো ভর্তুকি পরিশোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চলতি অর্থবছরে সার, বিদ্যুতের বকেয়াসহ ভর্তুকির প্রায় পুরোটাই পরিশোধ করবে সরকার। সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা।
মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকারি ব্যয়েও সাশ্রয়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির সঙ্গে সমন্বয় রেখে । আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, অর্থবছরের শুরু থেকে আন্দোলন ও পরে আগস্টে ক্ষমতার পালাবদলের পাশাপাশি প্রশাসনে রদবদলের ধাক্কায় উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে ধীরগতি রয়েছে। এডিপিতে প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে আগামীতে উন্নয়ন কর্মসূচির কাজে কিছুটা গতি ফিরলে।
সার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি বাবদ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার বকেয়া রয়ে গেছে। এ খাতে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকির পরিশোধ করার প্রয়োজন হবে চলতি অর্থবছরে । পাওনার পুরোটাই পরিশোধ করতে চায় সরকার চলতি অর্থবছরই । সরকার এ জন্য বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি), পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি), বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করে তাদের কত ভর্তুকি বকেয়া, চলতি অর্থবছরে কত প্রয়োজন হবে, সব তথ্য নেওয়া হয়েছে। ভর্তুকি বাবদ ৭৫ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হতে পারে এসব প্রতিষ্ঠানের ।
গত ৩ ডিসেম্বর এসে বাংলাদেশ সফর করছে আইএমএফ মিশন ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি দেখতে । অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে মিশন। সরকারের এমন উদ্যোগকে মিশন স্বাগত জানিয়েছে ।