দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোটেশনের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে ২ কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। ব্রুনেই থেকে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।দীর্ঘ মেয়াদে এই এলএনজি সরবরাহ করবে ব্রুনেই এনার্জি সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেডিং এসডিএন বিএইচডি। এটি ব্রুনেই সরকারের মনোনীত প্রতিষ্ঠান।পৃথক ২টি আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে এই এলএনজি আমদানি করা হবে। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরভিত্তিক ভাইটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে এক কার্গো এবং নিউজিল্যান্ড ভিত্তিক মেসার্স টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে এক কার্গো আমদানি করা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৩৫৩ কোটি ৯০ লাখ ৫২ হাজার ৮০০ টাকা।দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি।
এতে ব্যয় হবে ১৭৫ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন গমের দাম ২৯২.১৪ মার্কিন ডলার হিসেবে এতে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৭ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৭৫ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা।প্রতি কেজি গমের দাম হবে ৩৫.০৫৬৮ টাকা। বাংলাদেশে গত ৩১ অক্টোবর গমের মজুদ ছিল ৪.৪৯ লাখ মেট্রিক টন। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ৮.৯০ লাখ মেট্রিক টন গম প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৭ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সরকার গত কয়েক বছর ধরে এলএনজি আমদানি করছে। এ ছাড়াও স্পট মার্কেট থেকেও এলএনজি আমদানি করা হয়। এলএনজি সংগ্রহের জন্য ইতোমধ্যে ২৩ কোম্পানির সঙ্গে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্টের মাধ্যমে বর্তমানে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে।
এর সঙ্গে ব্রুনাই থেকেও এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১০ মে থেকে পরের ১০ বছর মেয়াদে প্রতিবছর ১২ থেকে ১৮ কার্গো এলএনজি সরবরাহের প্রস্তাব করে ব্রুনেইয়ের কোম্পানিটি। তখন তাদের সঙ্গে চুক্তির বিভিন্ন শর্ত নিয়ে কারিগরি কমিটি দর-কষাকষি করে।পরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা এম ফাওজুল কবির খান এতে সম্মতি দেন।জিটুজি ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদে ব্রুনাই এনার্জি সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেডিং এসডিএন বিএইচডি বেস্ট) ব্রুনাই থেকে সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ায় এলএনজি ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
বাংলাদেশ ও ব্রুনাই-এর মধ্যে রিগ্যাসিফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ সহযোগিতার বিষয়ে গত ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল তারিখে একটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়।রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় সউদি আরব, মরক্কো ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান কাফকো থেকে এক লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার।এর মধ্যে ৯০ হাজার টন ইউরিয়া, ৬০ হাজার টন টিএসপি এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি সার রয়েছে। এসব সার কিনতে মোট ব্যয় হবে ৯৮৪ কোটি ৩ লাখ টাকা।রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের মধ্যে আরেক চুক্তির আওতায় প্রথম লটের ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৪১৭.৫০ মার্কিন ডলার।এ ছাড়া, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কো ওসিপি নিউট্রিক্রপস এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৮ম লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার।এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৫৯৭.৫০ মার্কিন ডলার। আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম দিকেই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) এবং দাখিল ও কারিগরির ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন পাঠ্যপুস্তক পাবেন বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের পাশাপাশি দাখিল ও কারিগরি শিক্ষার্থীদের নতুন পাঠ্যবই জানুয়ারির শুরুতেই বিতরণ করা হবে।