Monday, December 23, 2024
Monday, December 23, 2024
বাড়িবিজনেস আপডেটসেপ্টেম্বরে ভারতের খুচরা মূল্যস্ফীতি নয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে

সেপ্টেম্বরে ভারতের খুচরা মূল্যস্ফীতি নয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে

সেপ্টেম্বর মাসে ভারতে খুচরা মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে, যা গত নয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। ভারতের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মাসে মূল্যস্ফীতির হার ৫.৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যেখানে খাদ্যপণ্যের জন্য মূল্যস্ফীতি ৯.২৪ শতাংশ।

গত বুধবার, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়ে ছিলেন যে, সেপ্টেম্বর মাসে খুচরা বাজারের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেতে পারে। তার পূর্বাভাস সঠিক প্রমাণিত হয়েছে।

সেপ্টেম্বর মাসে সবজির মূল্যস্ফীতি ৩৫.৯৯ শতাংশ, ডালের ৯.৮১ শতাংশ এবং ফলের ৭.৬৫ শতাংশ ছিল। বর্তমানে আলুর গড় দাম ৩৫ রুপি, পেঁয়াজ ৬০ রুপি, টমেটো ১০০ রুপি এবং বেগুন ১৫০ রুপি। ফুলকপির দাম ৭০ থেকে ৯০ রুপি পর্যন্ত উঠেছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, গত বছরের প্রতিকূল ভিত্তির কারণে এবং আবহাওয়ার অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে খুচরা মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোক্তারা বলছেন, বাজারের পরিস্থিতি বাস্তবিকভাবে আরও খারাপ, যা খাদ্যপণ্যের ও সবজির দামে স্পষ্ট। খাদ্য মূল্যস্ফীতি আগস্ট মাসের ৫.৬৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯.২৪ শতাংশ হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে খুচরা মূল্যস্ফীতি ছিল ৫.০২ শতাংশ, এবং চলতি বছরের জুলাই ও আগস্টে তা ছিল যথাক্রমে ৩.৬ ও ৩.৬৫ শতাংশ।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টে পাইকারি বাজারের মূল্যস্ফীতির হার ১.৩১ শতাংশ থেকে ১.৮৪ শতাংশে বেড়েছে, খাদ্যপণ্যের দাম সামগ্রিকভাবে ১১.৫৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সবজির দাম ৪৮.৭৩ শতাংশ এবং আলু ও পেঁয়াজের দাম যথাক্রমে ৭৮.১৩ শতাংশ ও ৭৮.৮২ শতাংশ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতির প্রভাব আগামী মাসগুলোতে খুচরা বাজারে রয়ে যাবে।

কংগ্রেস মোদি সরকারের বিরুদ্ধে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সমালোচনা করেছে। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারের দাম বাড়লে দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্য ও পুষ্টিতে দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

জুলাই ও আগস্ট মাসে খুচরা মূল্যস্ফীতি ৪ শতাংশের লক্ষ্য মাত্রার নিচে থাকার কারণে শিল্পমহল নীতি সুদহার হ্রাসের দাবি জানায়। অর্থাৎ ঋণের ব্যয় কমিয়ে অর্থনীতিতে গতি আনতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আরবিআই সুদহার অপরিবর্তিত রেখেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু খুচরা মূল্যস্ফীতি নয়, পাইকারি মূল্যস্ফীতির কারণে উদ্বেগ বেড়েছে। পাইকারি দামের প্রভাব খুচরা বাজারে পেতে কিছুদিন সময় লাগে। এদিকে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ভারতের জ্বালানি আমদানির খরচ বাড়বে। আগামী মাসগুলোতে মূল্যস্ফীতির পরিস্থিতি কতটা উন্নতি করবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, শিল্পমহল মনে করছে, আরবিআই শিগগিরই নীতি সুদ কমাবে না।

লে-অফ হয়নি বেক্সিমকোর কোনো কারখানা!

বেক্সিমকোর কারখানা এখনো উৎপাদনে আছে। কোনো কারখানা লে-অফ বা বন্ধ হয়নি। যেসব কারখানা বন্ধ হয়েছে সেগুলো বেক্সিমকোর কারখানা নয়। তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্রয়াদেশ না...

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

You cannot copy content of this page