বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে বিদেশি অংশীদারি যৌথ মালিকানার কোম্পানির জন্য নতুন নীতিমালা করেছে । ২০ নভেম্বর বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকে এই নীতিমালা প্রকাশ করেছে। নতুন নীতিমালায় রয়েছে আর্থিক বিবরণী , ব্যাংকিং লেনদেন, ব্যবসা শুরু, মুনাফা স্থানান্তর, ব্যাংকঋণ ও বিদেশি কর্মী নিয়োগসংক্রান্ত বিষয়ে নির্দেশনা ।
নীতিমালায় বলা হয়েছে , এ দেশে যৌথভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা কার্যালয় স্থাপনের ক্ষেত্রে বিদেশি নাগরিক বা যেসব কোম্পানি বাংলাদেশে নিবন্ধিত নয় , তাদের এই নীতিমালাটি মেনে চলতে হবে। এই নীতিমালাটি বিদেশি অংশীদারের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বা সাবকন্ট্রাক্টিং করার ক্ষেত্রেও মানার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
প্রথমেই বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) থেকে বিদেশি অংশদারি যৌথ মালিকানাধীন কোম্পানিকে ব্যবসার অনুমতিপত্র নিতে হবে। অংশীদারদের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কার্যালয়ের অধীন একটি বৈধ চুক্তি থাকতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগকে (এফইআইডি) বিডার অনুমতি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে জানতে হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নিয়ম অনুযায়ী টিআইএন, বিআইএন, ভ্যাট ইত্যাদি সনদ নিতে হবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে । আয়কর রিটার্নও নিয়মিত জমা দিতে হবে ।
বাংলাদেশের যেকোনো তফসিল ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের জন্য অনুমোদিত ডিলার (এডি) শাখায় বিদেশি অংশীদারি যৌথ মালিকানাধীন কোম্পানি নামে ব্যাংক হিসাব খোলা যাবে। এ ধরনের হিসাব রক্ষণাবেক্ষণে এডি শাখা মনোনীত এডি হিসেবে গণ্য হবে বলে নীতিমালায় বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানি অভ্যন্তরীণ ও বহির্মুখী লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবে এই হিসাবের মাধ্যমে । মনোনীত এডির মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো ও বিদেশ থেকে আসা সব ধরনের অর্থের লেনদেন তদারকি প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংককে উপস্থাপন করার ব্যবস্থা থাকবে।
বিদেশি অংশদারি যৌথ মালিকানাধীন কোম্পানি দেশি মুদ্রায় লেনদেনের জন্য এক বা একাধিক ব্যাংকে এক বা একাধিক ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে । তবে নতুন ব্যাংক হিসাব খোলার ক্ষেত্রে মনোনীত এডির অনাপত্তিপত্র দিতে হবে। তাছাড়াও বাধ্যবাধকতা রয়েছে কার্যাদেশের বিপরীতে পাওয়া সব অর্থ সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মূল ব্যাংক হিসাবে জমা করার । দেশের বাইরেও ব্যাংক হিসাব খোলা যাবে সেক্ষেত্রে এফইআইডির অনুমতি সাপেক্ষে ।