বৈদেশিক ঋণবিষয়ক গত ০৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবারে, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, দেশের বৈদেশিক ঋণের স্থিতি বেড়েছে ৫৬৮ কোটি ডলার কিন্তু মোট বৈদেশিক ঋণের স্থিতির অনুপাত কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বিপরীতে । ঝুঁকির প্রবণতা বৈদেশিক ঋণের বিপরীতে কিছুটা কমেছে। আরো জানা যায় যে, ঋণ পরিশোধের চাপ কমে এসেছে, কমেছে স্বল্পমেয়াদি ঋণ, দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বেড়েছে।
১০ হাজার ৩৭৯ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে জুন পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক ঋণের স্থিতি । যেখানে বেসরকারি খাতে ২ হাজার ৫৭ কোটি ডলার ঋণ এবং সরকারি খাতের ঋণ ৮ হাজার ৩২১ কোটি ডলার । বৈদেশিক ঋণের স্থিতি গত বছরের জুনে ছিল ৯ হাজার ৮১১ কোটি ডলার। ৫৬৮ কোটি ডলার বা ৫ দশমিক ৮ শতাংশ বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে গত এক বছরের তুলনায় দেশে ।
সরকারি খাতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বেশি যেটাকে ইতিবাচক হিসাবে দেখা হয়। বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ বেশি যেটাকে নেতিবাচক হিসাবে দেখা হয়। অর্থনীতিতে ঝুঁকির সৃষ্টিতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ কাজ করে।
চীন থেকে দেশে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হয়েছে যা, ৩১৩ কোটি ডলার। তারপর যুক্তরাজ্য থেকে ১১০ কোটি ডলার, নেদারল্যান্ডস থেকে ৯২ কোটি ডলার, হংকং থেকে ৭৯ কোটি, সিঙ্গাপুর থেকে ৫৭ কোটি, জার্মানি থেকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ নেওয়া হয়ছে। এ ঋণ গুলোর মধ্যে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের জন্য নেয়া হয় ৫১০ কোটি, উৎপাদন খাতের জন্য নেয়া হয় ২০৮ কোটি এবং বাণিজ্য খাতের জন্য নেয়া হয় ১০৯ কোটি ডলার।
রিজার্ভ বাড়া এবং ঋণ কমার ফলে অর্থনীতিতে ঝুঁকিও কিছুটা কমেছে। গত বছরের জুনে মোট বৈদেশিক ঋণের অনুপাত ছিল ২৫ শতাংশ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বিপরীতে । যা কিনা গত জুনে কমে দাড়িয়েছে ২১ শতাংশে । তবে বৈদেশিক ঋণের অনুপাত বেড়েছে, দেশের মোট জিডিপির বিপরীতে। গত বছরের জুনে ঋণের অনুপাত ছিল ২১ দশমিক ৬ শতাংশ জিডিপির বিপরীতে ।এই ঋণ বেড়ে গত জুনে দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে বৈদেশিক ঋণ এর ঝুঁকিমুক্ত হার ধরা হয় জিডিপির ৫০ শতাংশের মতো, এর বেশি হলে তা ঝুঁকিপূর্ণ।