দেশের বেশ কিছু ব্যাংক মূলধনের ঘাটতিতে পড়েছে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির কারনে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ব্যাংকগুলো শীর্ষ তিন ঋণগ্রহীতা খেলাপি হলে ১৮টি ব্যাংক ন্যূনতম মূলধন রাখতে পারবে না। যাকে বলে মূলধন ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের অনুপাত বা সিআরএআর।
জুন শেষে দেশের ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে ১১টি ব্যাংক ১০ শতাংশ ন্যূনতম সিআরএআর সংরক্ষণ করতে পারেনি। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাকি ৫০টি ব্যাংক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলা হয়েছে, বেশির ভাগ ব্যাংক সুনির্দিষ্ট ঝুঁকি মোকাবিলা করে ন্যূনতম সিআরএআর সংরক্ষণ করতে পারবে।
সামগ্রিকভাবে ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের চাপে আছে। ঋণখেলাপি হয়ে যাওয়ার ঝুঁকির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকিং খাত ন্যূনতম সিআরএআর সংরক্ষণ করতে পারবে না। অন্যান্য ছোটখাটো ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্যাংকিং খাত কিছুটা সক্ষম হলেও সুদহার বৃদ্ধিজনিত ঝুঁকি মোকাবিলা করা এই খাতের জন্য কঠিন হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে কোন পরিপ্রেক্ষিতে কী ঘটতে পারে, তার তুলনামূলক চিত্র দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, খেলাপি ঋণ ৩ শতাংশ বাড়লে দেশের পাঁচটি ব্যাংকের পক্ষে ন্যূনতম ১০ শতাংশ সিআরএআর সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে না।
প্রতিবেদনে ঝুঁকির দুটি ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। বলা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে কোন পরিপ্রেক্ষিতে কী ঘটতে পারে, তার তুলনামূলক চিত্র দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, খেলাপি ঋণ ৩ শতাংশ বাড়লে দেশের পাঁচটি ব্যাংকের পক্ষে ন্যূনতম ১০ শতাংশ সিআরএআর সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে না।